Type Here to Get Search Results !

গ্রীনহাউস এফেক্ট ও বিশ্ব উষ্ণায়ন | Global Warming।কারণ, প্রভাব ও প্রতিকার – Study Take

গ্রীনহাউস এফেক্ট ও বিশ্ব উষ্ণায়ন |কারণ, প্রভাব ও প্রতিকার 
গ্রীনহাউস এফেক্ট ও বিশ্ব উষ্ণায়ন | Global Warming
Global Warming

বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন। গ্রীনহাউস এফেক্ট, বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং ওজোন স্তরের ক্ষয় — এই তিনটি বিষয় আজ মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, কোন কোন গ্যাস এর জন্য দায়ী, ওজোন স্তরের ক্ষয়ে কী ক্ষতি হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে কীভাবে এর মোকাবিলা করা হচ্ছে — আজকের এই আলোচনায় আমরা সেসব বিষয় সহজভাবে তুলে ধরব।

🌍 গ্রীনহাউস এফেক্ট ও বিশ্ব উষ্ণায়ন | Global Warming

🔶 গ্রীনহাউস এফেক্ট কী?

গ্রীনহাউস এফেক্ট হল এক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আগত তাপকে শোষণ করে এবং পুনরায় বিকিরণ করে, ফলে পৃথিবীর উপরিভাগ উষ্ণ থাকে। এই প্রক্রিয়া ছাড়া পৃথিবী একটি বরফে মোড়ানো গ্রহ হয়ে যেত।

🔶 গ্রীনহাউস গ্যাস কী?

যেসব গ্যাস বায়ুমণ্ডলে থেকে সৌর বিকিরণের কিছু অংশ শোষণ করে এবং সেই তাপ পুনরায় বিকিরণ করে, তাদেরকে গ্রীনহাউস গ্যাস (Greenhouse Gases) বলা হয়। এই গ্যাসগুলো হল:

  • জলীয় বাষ্প (Water Vapor)
  • কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
  • মিথেন (CH₄)
  • নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
  • ওজোন (O₃)

✅ এই গ্যাসগুলোর উপস্থিতি শুধুমাত্র পৃথিবীতে নয়, সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ যেমন শুক্র, মঙ্গল ও টাইটানে-ও পাওয়া গেছে, যার ফলে সেখানেও গ্রীনহাউস এফেক্টের প্রমাণ পাওয়া যায়।


🔥 বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming)

বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে বোঝায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধি, যা মূলত গ্রীনহাউস গ্যাসের অতিরিক্ত নির্গমনের কারণে ঘটে।

🌱 প্রধান কারণসমূহ:

  • জীবাশ্ম জ্বালানির দহন (যেমন কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল)
  • বন উজাড় (Deforestation)
  • শিল্পায়ন ও শহুরে বিস্তার
  • কৃষিতে রাসায়নিকের ব্যবহার

🌎 এর প্রভাব:

  • হিমবাহ গলতে শুরু করে
  • সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়
  • জলবায়ু চরমভাবে পরিবর্তিত হয় (ঘন ঘন বন্যা, খরা, সাইক্লোন)
  • বাস্তুতন্ত্র বিপন্ন হয়
  • মানবস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে


🧪 ওজোন স্তর ও তার ক্ষয়

ওজোন স্তর হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অবস্থিত একটি গ্যাসীয় স্তর যা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি (UV) রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীর জীবজগতকে সুরক্ষা প্রদান করে। এটি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ২৪ কিমি উপরে অবস্থান করে । 

ওজোন স্তরের ক্ষয় কিভাবে হয়?

  • ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC), হ্যালন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইডের মত রাসায়নিক পদার্থ এই স্তরটিকে ধ্বংস করে।
  • এই ক্ষয় ঘটলে UV রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে পড়ে, ফলে চর্মরোগ, ক্যান্সার এবং চোখের সমস্যা দেখা দেয়।


🌐 আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা

🟩 মন্ট্রিয়েল প্রোটোকল (1987)

  • উদ্দেশ্য: ওজোন স্তর ধ্বংসকারী রাসায়নিক নিষিদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণ।
  • এটা ছিল এক ঐতিহাসিক চুক্তি যা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ মেনে নিয়েছে।
  • CFCs-এর ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ করা হয়।

🟩 কিয়োটো প্রোটোকল (Kyoto Protocol, 1997)

  • লক্ষ্য: গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা
  • ১৯৯৭ সালে ১১ ডিসেম্বর জাপানের কিয়োটো শহরে প্রথম গৃহীত হয় এবং ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকরী হয় । 
  • এটি জাতিসংঘের “Climate Change Framework Convention”-এর অংশ।
  • কার্যকর হয়: ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে।
  • ভারত অনুমোদন করে: ২০০২ সালে।
  • বর্তমানে কিয়োটো প্রোটোকলে ১৯২ টি দেশ রয়েছে । 

✅ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • বর্তমানে ১৯২টি দেশ এই চুক্তিতে অংশ নিয়েছে।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে অংশ নেয়নি, এবং কানাডা ২০১২ সালে প্রোটোকল থেকে সরে দাঁড়ায়।
  • এই প্রোটোকলের অধীনে বাজারভিত্তিক তিনটি ব্যবস্থা চালু করা হয়:

  1. International Emissions Trading
  2. Clean Development Mechanism (CDM)
  3. Joint Implementation
🔹 এগুলোর মাধ্যমে উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগ করে নিজেদের নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারে।

📊 ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চিত্র

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, যদি গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন এই হারে চলতে থাকে, তবে:

👉 মক টেস্ট দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন : জেনারেল নলেজ মক টেস্ট

  • ১৯৯০ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.৪°C থেকে ৫.৮°C পর্যন্ত বাড়তে পারে।
  • কিন্তু কিয়োটো প্রোটোকল সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ২০৫০ সালের মধ্যে উষ্ণতা বৃদ্ধি ০°C থেকে ০.২৮°C-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব।


✅ উপসংহার:

বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং ওজোন স্তরের ক্ষয় মানবসভ্যতার জন্য এক বড় হুমকি। এ সমস্যার সমাধান একক কোনো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। বৈশ্বিক সহযোগিতা, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার, বন সংরক্ষণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিই হতে পারে এর একমাত্র প্রতিকার। আমাদের সকলেরই দায়িত্ব – এই পৃথিবীকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তোলা।


গ্রীনহাউস এফেক্ট, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও ওজোন স্তর নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ  এক লাইনে প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো, যা তোমাদের প্রস্তুতিতে  আরও মজবুত  করবে । 

আরও পড়ুন:

  1. গ্রীনহাউস গ্যাস কী? – বায়ুমণ্ডলে তাপ শোষণ ও বিকিরণকারী গ্যাস।
  2. গ্রীনহাউস গ্যাসের উদাহরণ দিন। – কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প।
  3. গ্রীনহাউস এফেক্টের ফলে কী ঘটে? – পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ে।
  4. বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ কী? – জীবাশ্ম জ্বালানির দহন।
  5. ওজোন গ্যাস কোথায় অবস্থিত? – স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে।
  6. ওজোন গ্যাস কী করে? – অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে।
  7. CFC পূর্ণরূপ কী? – ক্লোরো ফ্লুরো  কার্বন।
  8. ওজোন স্তরের ক্ষয়ের প্রধান কারণ কী? – CFC গ্যাস।
  9. মন্ট্রিয়েল প্রোটোকল কিসের জন্য? – ওজোন রক্ষা।
  10. কিয়োটো প্রোটোকল কিসের জন্য? – গ্রীনহাউস গ্যাস হ্রাস।
  11. কিয়োটো প্রোটোকল কবে গৃহীত হয়? – ১৯৯৭ সালে।
  12. ভারত কবে কিয়োটো প্রোটোকল স্বাক্ষর করে? – ২০০২ সালে।
  13. গ্রীনহাউস এফেক্ট না থাকলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কেমন হত? – অনেক কম।
  14. কোন গ্রহে গ্রীনহাউস এফেক্ট বেশি? – শুক্র গ্রহে।
  15. Clean Development Mechanism কী? – উন্নয়নশীল দেশে পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের ব্যবস্থা।
  16. ওজোন গঠনের জন্য কী প্রয়োজন? – অক্সিজেন ও সূর্যালোক।
  17. কিয়োটো প্রোটোকলের বাজার ব্যবস্থা কী? – Emission Trading System।
  18. গ্রীনহাউস গ্যাস কীভাবে কমানো যায়? – বৃক্ষ রোপণ করে।
  19. অতিবেগুনী রশ্মি কী ক্ষতি করে? – চর্মরোগ সৃষ্টি করে।
  20. গ্রীনহাউস গ্যাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কোনটি থাকে? – কার্বন-ডাই-অক্সাইড।

 নিচে গ্রীনহাউস এফেক্ট, বিশ্ব উষ্ণায়ন, ওজোন স্তরের ক্ষয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনগুলির উপর ভিত্তি করে ৩০টি বহুনির্বাচনী (MCQ) প্রশ্ন ও সঠিক উত্তর সহ একটি সেট দেওয়া হলো। প্রতিটি প্রশ্নের পর ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে যাতে তোমরা আরও ভালোভাবে বুঝতে পার।


🌍 গ্রীনহাউস এফেক্ট ও বিশ্ব উষ্ণায়ন – প্রশ্নোত্তর (MCQ)

1. গ্রীনহাউস গ্যাস কোনটি?
(A) অক্সিজেন
(B) নাইট্রোজেন
(C) কার্বন ডাই-অক্সাইড ✅
(D) হিলিয়াম
📝 ব্যাখ্যা: কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলের অন্যতম গ্রীনহাউস গ্যাস।

2. গ্রীনহাউস এফেক্টের ফলে কী ঘটে?
(A) পৃথিবী ঠান্ডা হয়
(B) পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ে ✅
(C) চুম্বকীয় ক্ষেত্র দুর্বল হয়
(D) সূর্য নিকটবর্তী হয়
📝 গ্রীনহাউস এফেক্টের কারণে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

3. নিচের কোন গ্রহে গ্রীনহাউস গ্যাস বিদ্যমান?
(A) বুধ
(B) ইউরেনাস
(C) শুক্র ✅
(D) নেপচুন
📝 শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে ঘন গ্রীনহাউস গ্যাস রয়েছে।

4. জলীয় বাষ্প একটি —
(A) অক্সাইড
(B) গ্রীনহাউস গ্যাস ✅
(C) দূষণ
(D) ধাতু
📝 এটি প্রাকৃতিকভাবে গ্রীনহাউস এফেক্টে ভূমিকা রাখে।

5. বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ কোনটি?
(A) চন্দ্রগ্রহণ
(B) জীবাশ্ম জ্বালানির দহন ✅
(C) চাষাবাদ
(D) চন্দ্র অভিযানের ব্যর্থতা
📝 জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ালে প্রচুর গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গত হয়।

6. ওজোন স্তর কোথায় অবস্থিত?
(A) ট্রপোস্ফিয়ার
(B) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ✅
(C) আয়নোস্ফিয়ার
(D) এক্সোস্ফিয়ার
📝 এটি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ২৪ কিমি উপরে থাকে।

7. ওজোন গ্যাস কিভাবে তৈরি হয়?
(A) জলীয় বাষ্প থেকে
(B) নাইট্রোজেন থেকে
(C) অক্সিজেন ও সূর্যালোকের বিক্রিয়ায় ✅
(D) সালফার ডাই-অক্সাইড থেকে
📝 সূর্যরশ্মির মাধ্যমে অক্সিজেন থেকে ওজোন উৎপন্ন হয়।

8. ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি (UV) কে শোষণ করে কোন গ্যাস?
(A) CO₂
(B) ওজোন ✅
(C) মিথেন
(D) নাইট্রোজেন
📝 ওজোন UV রশ্মি শোষণ করে জীবজগৎকে রক্ষা করে।

9. ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য প্রধান দায়ী পদার্থ কোনটি?
(A) CO
(B) CFC ✅
(C) NO₂
(D) CH₄
📝 ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ওজোন ধ্বংসে অন্যতম ভূমিকা রাখে।

10. CFC ব্যবহৃত হয়—
(A) গাড়ির জ্বালানিতে
(B) রেফ্রিজারেন্ট ও স্প্রে ক্যান-এ ✅
(C) ব্যাটারিতে
(D) কম্পিউটারে
📝 তাই এসব যন্ত্রে ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি।


🌱 আন্তর্জাতিক চুক্তি ও প্রোটোকল সম্পর্কিত প্রশ্ন

11. ওজোন স্তর রক্ষায় গৃহীত আন্তর্জাতিক চুক্তি কোনটি?
(A) রিও চুক্তি
(B) কিয়োটো প্রোটোকল
(C) মন্ট্রিয়েল প্রোটোকল ✅
(D) জলবায়ু শিখর সম্মেলন
📝 মন্ট্রিয়েল প্রোটোকল ১৯৮৭ সালে গৃহীত হয়।

12. মন্ট্রিয়েল প্রোটোকলের লক্ষ্য কী?
(A) বন রক্ষা
(B) দূষণ নিয়ন্ত্রণ
(C) ওজোন রক্ষা ✅
(D) জ্বালানি সাশ্রয়
📝 এটি ওজোন ধ্বংসকারী রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

13. কিয়োটো প্রোটোকল গৃহীত হয়—
(A) ১৯৯২
(B) ১৯৯৭ ✅
(C) ২০০২
(D) ২০০৫
📝 এটি ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর গৃহীত হয়।

14. কিয়োটো প্রোটোকল কার্যকর হয় কবে?
(A) ২০০০
(B) ২০০2
(C) ২০০৫ ✅
(D) ২০০৭
📝 কার্যকর হয় ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি।

15. ভারত কবে কিয়োটো প্রোটোকল অনুমোদন করে?
(A) ১৯৯৮
(B) ২০০২ ✅
(C) ২০০৪
(D) ২০০৬
📝 ভারত পরিবেশ সংক্রান্ত পদক্ষেপে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।

16. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়োটো প্রোটোকলে—
(A) স্বাক্ষর করে
(B) প্রত্যাহার করে নেয়
(C) অংশ নেয়নি ✅
(D) নেতৃত্ব দেয়
📝 তারা শুরু থেকেই এতে অংশ নেয়নি।

17. কানাডা কবে কিয়োটো প্রোটোকল থেকে সরে আসে?
(A) ২০১০
(B) ২০১১
(C) ২০১২ ✅
(D) ২০১৩
📝 কানাডা ২০১২ সালে প্রোটোকল থেকে বেরিয়ে যায়।


🌐 বাজারভিত্তিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রশ্ন

18. কিয়োটো প্রোটোকলের একটি ব্যবস্থার নাম—
(A) ওজোন ব্যালেন্স
(B) Carbon Banning
(C) Clean Development Mechanism ✅
(D) Soil Preservation Act
📝 এটি উন্নয়নশীল দেশে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়।

19. 'Emission Permit' শব্দটি কোন প্রোটোকলের সাথে জড়িত?
(A) মন্ট্রিয়েল
(B) কিয়োটো ✅
(C) রিও
(D) জলবায়ু শিখর
📝 এটি গ্যাস নির্গমনের সীমা নির্ধারণ করে।

20. নিচের কোনটি কিয়োটো প্রোটোকলের বাজারভিত্তিক পদ্ধতি নয়?
(A) International Emissions Trading
(B) Clean Development Mechanism
(C) Joint Implementation
(D) Green Belt Movement ✅
📝 Green Belt Movement পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন।


🌡️ উষ্ণতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত প্রশ্ন

21. ১৯৯০-২১০০ সালের মধ্যে সম্ভাব্য উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিসীমা—
(A) ০.২°C–২°C
(B) ১.৪°C–৫.৮°C ✅
(C) ২°C–৭°C
(D) ০.৫°C–৩.৫°C
📝 এই উষ্ণতা ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।

22. কিয়োটো প্রোটোকল সফল হলে ২০৫০ সাল নাগাদ উষ্ণতা বৃদ্ধি হবে—
(A) ১°C–২°C
(B) ০°C–০.২৮°C ✅
(C) ২°C–৪°C
(D) ০.৫°C–১.৫°C
📝 এটি বাস্তবায়নের সাফল্য নির্ভর করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর।


বিষয় ভিত্তিক সংমিশ্রিত প্রশ্ন

23. গ্রিনহাউস এফেক্ট ছাড়া পৃথিবীর তাপমাত্রা হত—
(A) খুব বেশি
(B) খুব কম ✅
(C) অপরিবর্তিত
(D) অতিরিক্ত
📝 তাপমাত্রা -১৮°C হতে পারত।

24. জীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ নয়—
(A) কয়লা
(B) প্রাকৃতিক গ্যাস
(C) সৌরশক্তি ✅
(D) পেট্রোল
📝 সৌরশক্তি পুনর্নবীকরণযোগ্য।

25. কোনটি একটি প্রাকৃতিক গ্রীনহাউস গ্যাস?
(A) হিলিয়াম
(B) জলীয় বাষ্প ✅
(C) ক্লোরিন
(D) আরগন
📝 এটি মেঘ ও বৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত।

26. গ্রীনহাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রণে বৃক্ষরোপণ—
(A) সহায়ক ✅
(B) ক্ষতিকর
(C) নিষিদ্ধ
(D) অপরিহার্য নয়
📝 গাছ CO₂ শোষণ করে।

27. অতিবেগুনি রশ্মি UV-এর ক্ষতিকর প্রভাব—
(A) চর্মরোগ ✅
(B) চোখে জল
(C) দাঁত ব্যথা
(D) হজমের সমস্যা
📝 UV-B রশ্মি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

28. কিয়োটো প্রোটোকলের মূল উদ্দেশ্য—
(A) বন সংরক্ষণ
(B) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
(C) গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস ✅
(D) ওজোন রক্ষা
📝 এটি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত।

29. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোন স্তরের উচ্চতা—
(A) ১০ কিমি
(B) ১৬ কিমি
(C) ২৪ কিমি ✅
(D) ৩২ কিমি
📝 গড়ে এটি ২০-৩০ কিমির মধ্যে অবস্থান করে।

30. গ্লোবাল ওয়ার্মিং মানব সভ্যতার জন্য—
(A) উপকারী
(B) ক্ষতিকর ✅
(C) গুরুত্বহীন
(D) সহনীয়
📝 এটি জীববৈচিত্র্য ও কৃষিতে হুমকি তৈরি করে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies